বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলের ভাষার জন্য প্রথম কারাবন্দি। সেই ১১ মার্চ বাংলা ভাষার জন্য কথা বলে বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে হয়েছিলো নির্মম নির্যাতন। ধীরে ধীরে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজকে আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষার চর্চা হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা তাদের মাতৃভাষার চর্চা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দফতরের সম্মেলন কক্ষে মাতৃভাষার তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভায় চবি ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।
রোববার সকালে ভাষা শহীদদের জন্য দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। পরে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহীদের স্মৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চবি ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
এ সময় চবি ভিসি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি একটি বেদনাদায়ক দিন। ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো এই বাংলা ভাষার জন্য। পরে এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া
হয়। আর এই স্বীকৃতি কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। আজকে আমরা তাদের কল্যাণে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলছি। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই বীর শহীদদের। ১৯৪৭ সাল থেকে বাঙালি জাতি বুঝতে পেরেছিলো পাকিস্তানের হাতে তাদের ভালো ভাগ্যে
নেই। তাই তখন থেকে এই দেশের মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলার ছেলেরা। যা পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগে ব্রিটিশরা শোষণ করেছিলো এদেশের জনগণকে। পরে তাদের ছাড়িয়ে যায় পাকিস্তানিরা। আর ঠিক সেই সময় আগমন ঘটে এক মহানায়কের। যে মুক্তির দূত হয়ে আসে আমাদের মাঝে। সেই মহানায়ক, মহাকবি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বাদ। আজকে আমরা পেয়েছি একটি পতাকা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে চবি ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন শান্ত আছে। আপনাদের অনেক আশা আকাঙ্খা আছে। অনেক অসুবিধার মধ্যে অনেক কিছু দিতে পারি না। দিতে পারি না বলে সবসময় যে দিতে পারবো না তা নয়। করোনার এই সময় শেষ হলে আমরা সবার সমস্যা সমাধান করবো। আসুন আমরা এক সঙ্গ এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠি। সরকারের দিকে খেয়াল রাখি।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, কলা ও
মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ড. মুহিবুল আজিজ, আইন বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিন, চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, শামসুননাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদা আখি, সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা।